‘ডবল ইঞ্জিন’ শাসিত রাজ্য হয়েও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে। খাতায়-কলমে ‘ড্রাই স্টেট’ হলেও সেখানে বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন অনেকেই। সরকারি হিসাব অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নানা সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আড়াল করছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। এই ঘটনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই বিষমদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বোটাড এবং আমেদাবাদের প্রচুর মানুষ। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯৭ জন। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে গুজরাতের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বোটাডের এসপি করণরাজ বাঘেলা এবং আহমেদাবাদের এসপি বীরেন্দ্র সিং যাদবকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উচ্চপদস্থ ছয় পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে আঙুল উঠছে গুজরাত সরকারের দিকে। সূত্রের মতে, অনেকেই পরিবারের সদস্যদের শেষকৃত্য করে ফেলেছেন। তাঁরা মনে করেছেন স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় কাউকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু ভরতি করার আগেই মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের। ফলে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা মনে করছেন, স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ময়না তদন্ত না করেই পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, নানা গ্রামে গিয়ে মানুষের অসুস্থতার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। পেট ব্যথা বা বমির সমস্যা রয়েছে কিনা, সেই সংক্রান্ত তথ্য খুঁজছে তারা। ফলে মৃতের সংখ্যা চাপা দিতেই পুলিশ এমন কাজ করছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে। আবার, খাতায়-কলমে ড্রাই স্টেট হওয়া সত্বেও সেখানে বিষমদ বিক্রি হচ্ছিল কী করে? মিলছে না সেই প্রশ্নের উত্তরও।