মোদী সরকারের ‘স্বৈরাচারী আচরণ’, মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্যপণ্যে জিএসটি লাগুর প্রতিবাদে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৫০ ঘন্টার জন্য ধর্নায় বসেছেন বিরোধী দলের সাংসদরা।
প্রসঙ্গত, গত দু’দিনে সংসদের দুই কক্ষ থেকেই ২৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ৭ জন তৃণমূলের, ৬ জন ডিএমকের, ৪ জন কংগ্রেসের, ৩ জন টিআরএসের, ২ জন সিপিএমের এবং সিপিআই ও আপের ১ জন করে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, সংসদের অভ্যন্তরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সাংসদরা রিলে বিক্ষোভ দেখাবেন। সাংসদরা সারারাত সেখানে থাকবেন।
বুধবার রাতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভরত সাংসদের নৈশভোজের ব্যবস্থা করে তৃণমূল। মেনুতে ছিল- রুটি, ডাল, পনির এবং চিকেন। আবার মঙ্গলবার সকালেই ধর্নাস্থলে হাজির চা এবং প্রাতরাশ। যার ব্যবস্থা করে তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিনের বোন তথা রাজ্যসভা সাংসদ কানিমোঝিও রাতভর ছিলেন ধর্নায়। জানা গিয়েছে, ধর্নায় বসা সাংসদদের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করছে টিআরএস। সবমিলিয়ে ২৪ সাংসদেরর ৫০ ঘন্টার সেই ধর্না-পর্বে অভূতপূর্ব ঐক্য দেখা গিয়েছে বিরোধী শিবিরে।