একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির যেন শনির দশা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, লোকাল ট্রেন থেকে কলকাতার রাজপথে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলেরই অন্য অংশকে। একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। এসব নিয়েই রাজ্য পার্টির উপর বীতশ্রদ্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার যেমন বঙ্গের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বের ওপর আস্থা না রেখে সংগঠনের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি সাংসদদের কাছ থেকেও রিপোর্ট চাইলেন তাঁরা। সংসদের অধিবেশন শেষে এলাকা ঘুরে লোকসভা ভিত্তিক রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদদের। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দপ্তরে রিপোর্ট পাঠাতে হবে বলেও সূত্রের খবর।
কারণে-অকারণে দিল্লিতে সময় কাটানোর প্রয়োজন নেই। নিজেদের এলাকায় আরও সময় দিতে হবে। সেখানে কত সময় দিচ্ছেন সাংসদরা, এলাকায় কী ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন, জনসংযোগ বাড়াতে কী করেছেন– সেই তালিকা পাঠাতে হবে রাজ্য দপ্তরে। সেই সঙ্গে দিল্লীর উপর কমাতে হবে ভরসা। সংসদে এলাকার সমস্যা তুলে ধরতে হবে। যাতে সংসদীয় এলাকার মানুষ তা জানতে পারেন। ই-মেইল মারফত সাংসদদের এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এখন থেকেই জনসংযোগে নেমে পড়তে বাংলার সাংসদদের নিদান দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দাবিদাওয়া আদায়ের অজুহাত দেখিয়ে অনেক সাংসদই অকারণে দিল্লীতে বসে থাকেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেন। এলাকায় সময় দেন না। তাই সাংসদদের জনসংযোগে খামতি থেকে যাচ্ছে। ফলে বাংলার বেশ কয়েকজন সাংসদের ওপর ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদকে সতর্কও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।