বড়সড় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে প্রকাশ্যে এল চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনে অনুমোদিত পদ ১২৪টি। তবে তার মধ্যে ৭৫টি পদই শূন্য। ৪৯ জন কর্মচারী অধুনা কর্মরত। তিনদিন আগে দেশে প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করার সিদ্ধান্তকে তাদের জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতি দায়বদ্ধতা হিসাবে তুলে ধরতে ব্যস্ত। কিন্তু জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনের কর্মীসংখ্যার এমন হাল পরিস্থিতি সামনে আসার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। কারণ, কমিশনের প্রধান দুটি কাজ হল, জনজাতিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি ও তাদের উন্নয়নে সুপারিশ করা। কিন্তু সে আর হচ্ছে কই?
প্রসঙ্গত, দ্রৌপদী রাষ্ট্রপতি হওয়ার দিনেই লোকসভায় কমিশনের কর্মী সংখ্যা, শূন্য পদ ও বার্ষিক রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তফসিলি জাতি ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী এই তথ্য পেশ করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, কমিশনের গ্রুপ এ স্তরের অফিসারদের নিয়োগ করে থাকে তফসিলি উপজাতি মন্ত্রক। বাকি স্তরের কর্মী-অফিসারদের নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়টি দেখে থাকে কমিশন। এছাড়া অভিষেক জানতে চেয়েছিলেন, শূন্য পদ কতদিনে পূরণ হবে? সময়সীমা নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতিই দেননি মন্ত্রী। অভিষেকের দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ ২০১৮ থেকে অনিয়মিত। সরকার কবে প্রকাশ করবে রিপোর্ট? মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন মন্ত্রক, সংস্থার বক্তব্যের জন্য অপেক্ষার কারণেই রিপোর্ট পেশে বিলম্ব হয়ে থাকে। এই প্রশ্নের জবাবেও পেশ না হওয়া রিপোর্ট কবে প্রকাশ করা হবে সে ব্যাপারে কথা দেননি মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকেই।
