গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মাঝপথে ডাক্তারি পড়া থামিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে অন্তত ১৮ হাজার পড়ুয়াকে। তাঁদের মধ্যে বারো হাজার ডাক্তারি পড়ুয়া ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করছিলেন। সেই কারণে এই মুহূর্তে ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন তাঁরা। এমনিতেই রাশিয়ার আক্রমণের ফলে পড়াশোনা থামিয়ে দেশে চলে আসতে হয়েছে। উপরন্তু এ দেশের মেডিকেল কলেজে অবশিষ্ট পাঠ্যক্রম শেষ করার ব্যাপারেও সরাসরি হাত তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। কাজেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়ারা। ইউক্রেন-ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভারতের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পাঠ শেষ করার সুযোগ মেলার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী, এমন কোনও সংস্থান তাদের হাতে নেই। এহেন দুর্দশার মধ্যে পড়ুয়ারা ভারতেই পাঠ্যক্রম শেষ করার দাবিতে রাজধানী দিল্লীতে ৫ দিনের অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে এ দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বেধে যায়। তার জেরে ইউক্রেনে কোর্স অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে আসতে হয় হাজার হাজার পড়ুয়াকে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ডাক্তারি পড়ুয়া। পাঠ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক দোলাচলে পড়েন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বাংলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে সে জন্য প্রয়োজন কেন্দ্রের ছাড়পত্রের।
কিন্তু শেষ খবর অনুযায়ী, তেমন কোনও সংস্থান কেন্দ্রের হাতে নেই বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় বিশ্বমের করা একটি প্রশ্নের জবীবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পওয়ার জানান, যুদ্ধের কারণে প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন। তিনি আরও জানান, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৫৬ এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন অ্যাক্ট, ২০১৯-এ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভারতের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে নেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল এ ব্যাপারে কোনও পড়ুয়াকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতের কোনও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর ব্যাপারে অনুমতি দেয়নি।