নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাকস্বাধীনতা। বিরোধী স্বরের উপর বারবার নেমে এসেছে আঘাত। যা দেখা যাচ্ছে চলতি বাদল অধিবেশনেও। সংসদে লাগাতার বিরোধী কণ্ঠ দমন করছে কেন্দ্র। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চেয়ে সোমবার সাসপেন্ড হয়েছিলেন লোকসভার ৪ কংগ্রেস সাংসদ। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে রাজ্যসভার ১৯ বিরোধী সাংসদকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। বুধবার আম আদমী পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। একের পর এক বিরোধী সাংসদদের কণ্ঠরোধ নিয়ে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। ডেরেক ও ব্রায়েনের প্রতিক্রিয়া, “বিরোধীরা মানুষের কথা বলবে। তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরবে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল অধিবেশনে গুজরাটে বিষমদ কাণ্ড নিয়ে সরব হন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। সরকার পক্ষের অভিযোগ, রাজ্যসভায় স্লোগান দিচ্ছিলেন আপ সাংসদ। একইসঙ্গে কাগজ ছিঁড়ে চেয়ারম্যানের চেয়ারের দিকে ছুঁড়েও মারেন তিনি। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং বলেন, “চলতি সপ্তাহের জন্য অধিবেশন থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” একের পর এক সাসপেনশন নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। “১৯ বিরোধী বিধায়ক সাসপেন্ড হওয়ার পর সরকার চাইছে রাজ্যসভার বিরোধীদের অনুশোচনা হোক। কিন্তু মানুষের সমস্যার কথা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে না দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সরকারকে বলব, এই বিষয় আলোচনা করতে না দেওয়ায় আপনাদের অনুশোচনা হোক। মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলায় অনুশোচনা প্রকাশের কোনও প্রশ্নই নেই”, জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে ইতিমধ্যে ২৪ বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।র প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে লাগাতার ৫০ ঘণ্টা ধর্না দিচ্ছেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।