ক্রমশ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে করোনা সংক্রমণ। ব্রিটেনে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ২০ হাজার জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজকদের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল কোভিড নিয়ন্ত্রণ। কাজেই কমনওয়েলথ গেমসের ভিলেজগুলোয় নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। এর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে হয়েছে টেনিসের উইম্বলডন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। চার জন খেলোয়াড় কোভিড আক্রান্ত হয়ে উইম্বলডন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের আগে আক্রান্ত হন রোহিত শর্মা। কোভিডের মধ্যেই সে দেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা চললেও বহরে অনেক বড় কমনওয়েলথ গেমস। ৭২টি দেশের পাঁচ হাজারের বেশি ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন। গেমস ভিলেজগুলিতে খেলোয়াড়, কোচ, কর্তা মিলিয়ে থাকবেন প্রায় আট হাজার মানুষ। কাজেই বাড়তি সতর্ক আয়োজকরা।
উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে কোভিডের প্রকোপ রুখতে ইতিমধ্যেই নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কুস্তি, বক্সিংয়ের মতো সরাসরি শরীরের সংস্পর্শ হয়, এমন খেলাগুলির প্রতিযোগীদের জন্য কড়াকড়ি অনেকটাই বেশি। ভিলেজে প্রবেশ করার পর প্রত্যেকের কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১২০০ থেকে ১৪০০ জনের কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে। গেমস ভিলেজে পজিটিভিটি রেট এখনও উদ্বেগের নয় বলেই জানানো হয়েছে আয়োজকদের পক্ষে। আয়োজক কমিটির মুখ্য চিকিৎসা পরামর্শদাতা পিটার হারকোর্ট বলেছেন, ‘‘প্রতিদিন গুরুত্ব দিয়ে কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে। দিনে ১২-১৩ জনের ফল পজিটিভ হচ্ছে। এই সংখ্যাটা বিরাট কিছু নয়। এর থেকেই সকলে বুঝতে পারবেন পরিস্থিতি ঠিক কেমন।’’ সুষ্ঠুভাবে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজিত হবে বলেই আশাবাদী তিনি। ‘‘লন্ডনে আসার পরেই সকলের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারও আগে কোভিড হয়ে থাকলে, সে টিকা নিয়েছে কি না দেখা হচ্ছে। আমরা সব কিছুই খতিয়ে দেখছি। সকলে যথেষ্ট সাহায্য করছেন আমাদের’’, জানিয়েছেন পিটার।