বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি-পুলিশ লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। সেই অভিযোগ যে আদৌ অমূলক নয়, ফের মিলেছে তার প্রমাণ। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে আজ, বুধবার ফের তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই নিয়ে মোট তিনবার তলব করা হল বর্ষীয়ান নেত্রীকে। এর আগে মঙ্গলবারও তিনি ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তবে কংগ্রেস নেত্রীর জবাবে সন্তুষ্ট নন ইডি কর্তারা। সেই কারণেই আজ ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদই ইডির দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা ও রাহুল গান্ধী। মায়ের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদের গোটা সময়টাই ইডির দফতরে বসে থাকেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী ইডির তলবের প্রতিবাদে কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে যোগদান করেন। সেখানে তাঁকে আটক করে দিল্লী পুলিশ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার জেরায় ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র ও ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে সনিয়া গান্ধী কতটা জড়িত ছিলেন, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। তবে কংগ্রেস নেত্রী মেরেকেটে প্রায় ৩০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া জিজ্ঞাসাবাদ প্রথমে টানা আড়াই ঘণ্টা চলে। মাঝে ৯০ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয় মধ্যাহ্নভোজের জন্য। এরপর দুপুর থেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। প্রায় সন্ধে সাতটা অবধি জেরা চলে।