শিক্ষক নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডির গ্রেফতারির পর থেকেই রাজ্য সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এতে দমে না গিয়ে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷। বুধবার একগুচ্ছ শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন করতে উত্তরপাড়ার হিন্দমোটরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তাঁর ভাষণে একাধারে তিনি যেমন বলেছেন, আইনে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবেই। তেমনই সুর চড়িয়েছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ফের একবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন মমতা৷ প্রকৃত দোষীদের শাস্তির পক্ষে বলে জানিয়েও গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘২১ তারিখ বড় মিছিলের পর, ২ তারিখ কোনও ঘটনা ঘটলে নিশ্চয়ই আপনি ব্যবস্থা নেবেন। মধ্য রাতে কেন? ভোর পাঁচটায় কেন? এতগুলো একদিনে পেয়ে গেলেন।’ শুধু তাই নয়। ভোরবেলায় তাঁর পাড়ায় গিয়ে তাঁর বাড়ির খোঁজ করছে বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে তিনি এদিন বলেন, ‘আমি সব প্ল্যানিং জানি৷ কিছু হলে নিশ্চয়ই অ্যাকশন হবে৷ কিন্তু মধ্য রাতে কেন, ভোর পাঁচটায় কেন? ববি বলছে ভোর পাঁচটায় আমার পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর জিজ্ঞেস করছে আমার বাড়ি কোনটা? আমার বাড়ি তো সবাই চেনে, আয় না!’
তাঁর দাবি, আর কোনও কাজ নেই, কেবল দু-চারটে এজেন্সিকে দিয়ে সরকারকে জব্দ করাও। স্তব্ধ করো। একইসঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, ‘একটা বড় ইনস্টিটিউট চালাতে গেলে ভুল হতেই পারে। রাইট টু মেক ব্লান্ডার, নেতাজি লিখেছিলেন। ভুল কি কারও হয় না। কাজ করলে ভুল হতেই পারে। কেউ যদি ভুল করে থাকে, তা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন। কিন্তু এখানে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। কোনও কিছু হওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যম অনেক কিছু দেখিয়ে দিচ্ছেন। বিচারক কিছু বলার আগেই মিডিয়া সবাইকে চোর বানিয়ে দিচ্ছে। তাদের মধ্যেও কিন্তু চোর আছে। ওরাও এখন অনেক কিছু করছে। অনেকেই দালালি করে খায়। তবে কেউ অন্যায় করলে সে শাস্তি পাবেই।’