পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে আচমকাই যেন হালে পানি পেয়েছে গেরুয়া শিবির। কারণ তারপর থেকেই প্রতিদিন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা৷ তবে ভয় তাঁদেরও রয়েছে৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা বহু নেতার নাম শিক্ষক দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ শুধুমাত্র শিক্ষক দুর্নীতি নয়, একাধিক সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু বিজেপি নেতাদের নাম জড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে সেটা অনেকটাই স্পষ্ট। কারণ, বিধানসভার কক্ষেই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা গেছে মেদিনীপুরের চাকরি কী ভাবে নিয়ে গিয়েছ আমরা জানি, পুরুলিয়ার চাকরি কী ভাবে মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়েছিলে?’
শুভেন্দুকে ‘দাদামণি’ বলে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘দাদামণি আপনি যাদের চাকরি দিয়েছিলেন, তাদের চাকরিও থাকবে তো? আমরা জানি দাদামণি জবাব দেবেন। সরকারে থেকেও করে খাবেন, বিজেপিতেও করে খাবেন? মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকে সামনে রেখে আগামী দিনে তদন্ত করুক তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এমনটাই চায় তৃণমূল। এখানেই শেষ নয়। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা সুমিত রঞ্জন কাঁড়ার। বিধানসভা নির্বাচনে উদয়নারায়নপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি৷ তৃণমূলের বক্তব্য, কেন একই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ হঠাৎ করে ইডির এত তৎপরতার মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা৷