বেফাঁস বা বিতর্কিত মন্তব্য করাই হোক বা বিরোধীদের উদ্দেশে কটূক্তি— সবেতেই গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীদের জুড়ি মেলা ভার। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ছত্তিশগড়ের এক বিজেপি বিধায়কের নাম। মদ্যপায়ীদের অপরাধ প্রবণতা বেশি। যাঁরা গাঁজা-ভাঙের নেশা করেন, তাঁরা খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো অপরাধ করেছেন, এমনটা কমই শোনা যায়। অতএব, মদের বদলে গাঁজা-ভাঙের নেশায় উৎসাহ দেওয়া উচিত। এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন মাস্তুরির বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণমূর্তি বান্ধি। প্রশ্ন উঠছে, কী করে একজন জনপ্রতিনিধি নেশার দ্রব্যের বিষয়ে এমন উৎসাহ দিতে পারেন। ইতিমধ্যেই গেরুয়া বিধায়কের মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, নার্কোটিক আইনে ভারতে গাঁজা নিষিদ্ধ। ভাঙের শরবতেও মেশানো হয় সেই গাঁজা গাছের পাতা। এই অবস্থায় মাস্তুরির বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণমূর্তি বান্ধির মন্তব্যে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে ভোটের সময়ে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা বিজেপি বিধায়ককে প্রশ্ন করলে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি আগেই বিধানসভায় তুলেছিলাম। ২৭ জুলাই এই নিয়ে বিধানসভায় আবার সরব হবে বিজেপি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণ, খুন, ঝগড়ার কারণ মদ, কিন্তু যাঁরা ভাঙ খান তাদের কখনও খুন, ধর্ষণ বা ডাকাতি করতে দেখেছেন কি?’
তাঁর দাবি, ‘মদ নিষিদ্ধ করার জন্য রাজ্যে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটিকে ভাবতে হবে কীভাব গাঁজা-ভাঙের নেশায় উৎসাহ দেওয়া যায়। মানুষ যদি নেশা করতে চায়, তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, তা থেকে যেন খুন, ধর্ষণ বা অন্য অপরাধ সংঘঠিত না হয়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। এই নিয়ে তোপ দেগেছেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তাঁর কটাক্ষ, ‘গাঁজাকে বৈধ করতে চাইলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে দরবার করা উচিত বিজেপি বিধায়কের।’ তাঁর দাবি, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি যখন ১০ গ্রাম গাঁজা খুঁজতে মুম্বই তোলপাড় করছে, তখন একজন বিজেপি বিধায়ক গাঁজাকে বৈধ করতে বলছেন। এমন ভাবনা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর।’