মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বাদল অধিবেশনে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। বিরোধীতা করার শাস্তি হিসাবে পুরো বাদল অধিবেশন থেকেই চার কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার স্পিকার ওম বিড়লা। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার জন্য বিজেপি সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন। ক্ষোভ উগরে জানিয়েছেন কেন্দ্রের অহংকারের কারণ।
তামিলনাড়ুর মনিকম টেগোর ও জ্যোতিমণি সেন্নিমালাই এবং কেরলের টিএন প্রতাপন ও রম্য হরিদাসকে সাসপেন্ড করার পরেই বিজেপিকে নিশানা করে শশী থারুর বলেছেন, “বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্র অহংকারী।” তিনি এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেছেন, “সাংসদদের বরখাস্ত করা লজ্জাজনক, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কের বিপর্যয়মূলক ভাঙ্গনকে চিহ্নিত করে।” কংগ্রেস সাংসদ অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, বিজেপি বিরোধী দলে থাকাকালীন গত তিন বা চার দশক ধরে সংসদীয় ব্যাঘাতের ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং মীরা কুমার এটিকে ঘিরে একটি উপায় খুঁজে পেতে লড়াই করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন। শশী থারুরের আরও অভিযোগ বিজেপি সরকার বিরোধীদের কণ্ঠস্বর প্রতিনিয়ত দমিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আজ স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া চার কংগ্রেস সাংসদ আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদের বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। সোমবার বাদল অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস সাংসদরা মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সরব হন। স্পিকার নিষেধ করলেও সেই কথা অমান্য না করেই চালিয়ে যান প্রতিবাদ। তারপরেই অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে এনে চারজনকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন স্পিকার ওম বিড়লা।