তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করার জন্য কিছুদিন আগেই আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৮ জুলাই সেই মামলার শুনানি হতে চলেছে! আর তার আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি এবার দলত্যাগী আইনে সাংসদ পদ খারিজ হতে চলেছে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর?
বস্তুত, ২০১৯ সালের কাঁথি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি লোকসভা থেকে নির্বাচিত হন বর্তমান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ১৯ শে ডিসেম্বর শিশির অধিকারীর মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট প্রচারে এগরা বিজেপি প্রার্থী অরুপ দাসের সমর্থনে প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহা। সেই মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা যায় কাঁথি তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সাংসদ শিশির অধিকারী। এরপর কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মঞ্চেও উপস্থিত হন শিশির অধিকারী। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের ছেলে শুভেন্দুকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবে শিশিরবাবুর সাংসদ পর খারিজের দাবি জানিয়ে আসরে নামে তৃণমূল। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দিল্লিতে ভোটদানে অংশ নিয়ে শিশিরবাবু দাবি করেছিলেন, ‘‘নেত্রীর নির্দেশ মতোই প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি৷’’ জানিয়েছিলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, তৃণমূলের আছেন!’’ যদিও ওই তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল৷ তাঁদের দাবি, সাংসদ পদ বাঁচাতেই এমন কৌশল নিয়েছেন শিশির ও তাঁর সেজো ছেলে দিব্যেন্দু৷
Sisir Adhikari