আনকোরা চিড়িয়াখানার স্বাদ পেতে চলেছে কলকাতাবাসী। নিউটাউনের ইকোপার্কের ছয় নম্বর গেটের কাছেই হরিণালয় ডিয়ার পার্কে দেখা মিলছে কুমিরের। মাসচারেকের মধ্যেই জলহস্তী, জিরাফ ও ডোরাকাটা জেব্রারা আলিপুর থেকে পাড়ি দেবে সেখানে। মাঝে বছরখানেকের অপেক্ষা। তারপরই প্রতিবেশী হিসাবে বাঘ, সিংহ, ভল্লুককেও পাবে তারা। বাসিন্দারা সকলে চলে এলে সত্যিই শহরের দ্বিতীয় চিড়িয়াখানা হয়ে উঠবে এই হরিণালয়। নিউটাউনে প্রায় ১২.৫ একর জায়গাজুড়ে থাকা এলাকাকে পুরোদস্তুর চিড়িয়াখানা তৈরির রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। স্পটেড ডিয়ার (চিতল), বার্কিং ডিয়ার, আগে হরিণালয়ে শুধু এই দুই প্রজাতির হরিণই ছিল। এখন গেট দিয়ে ঢুকতেই কানে আসবে কালো রাজহাঁস (ব্ল্যাক সোয়ান), সারস, বার্নাকেল হাঁসেদের ডাক। পাখিদের আবাসস্থলে গোল্ডেন ম্যাকাও ও সাদা কাকাতুয়ার বসবাস। পক্ষীকুলকে দেখে সোজা গেলেই সাধারণ তথা মিষ্টি জলের কুমিরের আবাসস্থল। সেখানে রয়েছে পাঁচটি ‘মার্স ক্রোকোডাইল’। ‘নোনা জলের কুমির’-এর আবাসস্থল আলাদা। সেখানে চারটি কুমির রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে চলছে জেব্রা, জিরাফ ও জলহস্তীর আবাসস্থল তৈরির কাজ। হরিণালয়ের ডিরেক্টর রামপ্রসাদ বাদানা বলেন, ‘‘পাখিদের আবাসস্থলের বাকিটা সম্পূর্ণ হতে আরও এক মাস। তারপর আরও পাখি আসবে। জিরাফ, জেব্রা ও জলহস্তীর আবাসস্থল তৈরির হতে দুই থেকে চার মাসে সময় লাগবে। আমাদের লক্ষ্য, এবছর পুজোর আগেই নতুনভাবে সেজে ওঠা হরিণালয়ের উদ্বোধন করার।’’ হরিণালয়ে আসবে মণিপুরের ডান্সিং ডিয়ার, হগ ডিয়ার, কালো হরিণ। আসবে স্কারলেট ম্যাকাও, নীল ডানার ম্যাকাও, দীর্ঘ চঞ্চুর পাখি টৌকান-সহ আরও কত কী। এরপর রয়েছে মাংসাশী প্রাণীদের আনার পরিকল্পনা। বাঘ, সিংহ, চিতা এবং শ্লথ বা হিমালয়ান ভল্লুক রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। মাংসাশী প্রাণীর আবাসস্থল প্রস্তুতির কাজ পরের বছর শুরু হয়ে যাবে সেন্ট্রাল জু অথরিটি অনুমোদন দিলেই, এমনটাই জানিয়েছেন রামপ্রসাদ।
Read: রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতাকে অসম্মান – বেঙ্কাইয়াকে চিঠি বিরোধীদের
Tweet: রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতাকে অসম্মান – বেঙ্কাইয়াকে চিঠি বিরোধীদের
Zoo