মোদী সরকার জিএসটি লাগু করেছে প্যাকেটবন্দি চাল, ডাল, আটা, মুড়ি, দুধ, দই, পনিরের ওপরে। আর তার জেরেই দেশজুড়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে। মুড়ির ওপর জিএসটি বসানোর জন্য এবারে একুশে জুলাইয়ের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরবও হয়েছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সেই পথ ধরেই রবি সকালে বর্ষা মুখর দিনে দুর্গাপুরের মানুষকে বিনামূল্যে চপমুড়ি খাওয়াল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন দুর্গাপুর শহরের স্টিল টাউনশিপে এই অভিনব কর্মসূচি পালন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এলাকার মানুষজনকে বিনামূল্যে মুড়ি ও চপ খাইয়ে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয় জোড়াফুল শিবির। দুর্গাপুর পুরনিগমের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর পল্লব নাগ এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। কর্মসূচিতে অংশ নেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা সহ এলাকাবাসীরাও। প্রায় ৫০০ জন এলাকাবাসী’কে এদিন মুড়ি ও চপ খাওয়ানো হয় বলে তৃণমূলের তরফে এদিন দাবি করা হয়েছে।
এদিনের ঘটনার জেরে প্রাক্তন কাউন্সিলার পল্লব নাগ বলেন, ‘মুড়ি আমজনতার খাবার। বড়লোকেরা খুব একটা বেশি মুড়ি না খেলেও গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ মুড়ির ওপর নির্ভরশীল। সেই মুড়িতে কেন্দ্র সরকার জিএসটি বসিয়েছে। এটা চূড়ান্ত অমানবিক সিদ্ধান্ত। এই নীতির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। মোদী সরকার মুড়ির ওপর জিএসটি বসিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। এর বিরুদ্ধে বাংলা নয়, সারা ভারতবর্ষের মানুষ এক হোক। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই আমাদের কর্মসূচি।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই দুর্গাপুর পুরনিগমের নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। আর আগে তৃণমূল এবার মোদী সরকারের হরেই জনবিরোধী সিদ্ধান্ত ও বিজেপির বিতর্কিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবার সেখানে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে চলেছে। এমনিতেই মনে করা হচ্ছে এবার সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের আর লড়াই হবে না। বরঞ্চ লড়াই হবে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। কেননা রাজ্যের অনান্য প্রান্তের মতো দুর্গাপুরেও ব্যাপক হারে বামের ভোট চলে গিয়েছে রামে। যদিও এখন তার কিছুটা ভোট ফের বাম বাক্সে ফিরে আসছে। এখন দেখার বিষয় পুরনিগমের নির্বাচনে কী হয়!