এবার কয়লাপাচার-কাণ্ডে পুলিশের হাতে ধৃত এক বিজেপি নেতা। ধৃত ওই বিজেপি নেতা, যোগেন্দ্রকুমার সাহা ওরফে মনুর বিরুদ্ধে ইসিএলে কয়লা পরিবহণে যুক্ত ডাম্পারের নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। কয়লাপাচার-কাণ্ডে বিজেপি নেতার গ্রেফতারি ঘিরে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি চাকরি প্রতারণার মামলাতেও ধৃত বিজেপি নেতার নাম জড়িয়েছিল।
নম্বর প্লেট পাল্টে পাল্টে দেদার কয়লা পাচার চালানো হত। ডাম্পার মালিক, চালক ও ট্রান্সপোর্টারদের নিয়ে কয়লা সিন্ডিকেট তৈরি করে ফেলেছিল বিজেপি নেতা মনু। পরিবহণ ব্যবসায়ী বিজেপি নেতা মনু, ছিলেন গোটা চোরাকারবারের মাস্টারমাইন্ড। শুক্রবার ২২ জুলাই রাতে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযান চালিয়ে দুর্গাপুর থেকে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে। শনিবার ২৩ জুলাই মনুকে আসানসোল আদালতে হাজির করা হলে, বিচারক তার জামিনের আবেদন খারিজ করে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
চলতি বছরের ২৬ জুন সিআইএসএফ ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবিমোড় এলাকায় তিনটি ডাম্পার আটক করেছিল। তিনটির মধ্যে দুটি ডাম্পারের নম্বর একই ছিল ডব্লিউবি ৩৭সি ৩৫৯২। একটিতে ১৮ মেট্রিক টন কয়লা ছিল এবং পিছনের ডাম্পারটিতে ব্ল্যাক স্টোন ভর্তি ছিল। একটি ডাম্পার সম্পূর্ণ খালি ছিল। একজন চালক পুলিশের হাতে, ধরা পড়ে যান। ওই ধৃত চালকই পুলিশকে এই কয়লা পাচার সিন্ডিকেটের কারসাজির করা জানায়। ওই কয়লা বোঝাই লরি কালিপাহাড়ি ও সিপি থেকে সাতগ্রাম সাইডিংয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রানিগঞ্জ থানার তরফে স্বত:প্রনোদিনভাবে মামলা দায়ের করা হয়, তদন্ত শুরু হয় এবং কালক্রমে মামলা তদন্তভার গ্রহণ করে কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ।
গোয়েন্দা তদন্তে কয়লাপাচার-কাণ্ডের অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে মনু সাহার নাম উঠে আসে। প্রসঙ্গত, একদা বিজেপির এসসি মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন এই মনু। পরিবহণ ব্যবসা ছাড়াও, তাঁর একটি বেসরকারি কলেজ রয়েছে। এছাড়াও পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে, দিল্লিসহ বিভিন্ন জায়গায় ধৃত বিজেপি নেতার একাধিক হোটেল রয়েছে।
Read: সীমান্তে নিজের সার্ভিস গান থেকে গুলি করে আত্মঘাতী বিএসএফ জওয়ান – তীব্র চাঞ্চল্য
Tweet: সীমান্তে নিজের সার্ভিস গান থেকে গুলি করে আত্মঘাতী বিএসএফ জওয়ান – তীব্র চাঞ্চল্য
Coal Smuggling