মেঘালয় সরকারের অন্যতম জোটশরিক হল বিজেপি৷ সেই দলের রাজ্য সহ সভাপতি হলেন বার্নাড মারাক। ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বার্নাড বহুবার থেকেছেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। মেঘালয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে তাঁকে নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে৷ গত শুক্রবার তাঁর ফার্ম হাউসে হানা দিয়ে ৬৪ জন পুরুষ ও মহিলাকে আটক করে মেঘালয় পুলিশ। তাদের মধ্যে কয়েকজন কিশোর-কিশোরীও ছিল৷ ওই ফার্মহাউস থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২১০ লিটার অ্যালকোহল, ৫০০ প্যাকেট নিরোধক৷ পুলিশের অভিযোগ, বার্নাডের ফার্মহাউসে মধুচক্রের আসর বসেছিল৷ ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বার্নাড বহুবার থেকেছেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে৷
উল্লেখ্য, একসময় গারোদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন তিনি৷ হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। বার্নাড ছিলেন অছিক ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার কাউন্সিলের (এএনভিসি) সদস্য৷ অসম ও মেঘালয় ভেঙে গারোদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে ওই সংগঠন সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে৷ কিন্তু ২০০৪ সালে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে এএনভিসির শান্তি চুক্তির পর সেই আন্দোলন অনেকটাই থিতু হয়ে যায়৷ পরবর্তীতে এএনভিসিতেও ভাঙন ধরে৷ তার দু’বছর পর ১৪-র লোকসভা ভোটের সময় বিজেপিতে যোগ দেন বার্নাড৷ রাজনীতিতে এলেও সে যাত্রা প্রথম দিকে খুব একটা মসৃণ ছিল না৷ ২০১৭ সালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে বিফ পার্টি দিয়ে বিতর্কে জড়ান বার্নাড৷ সেই বছরই বিজেপি ছাড়েন তিনি৷ আবার ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের সময় ফের যোগ দেন বিজেপিতে৷
