রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিশির অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। একইসঙ্গে বিরোধী শিবিরের ১৭ জন সাংসদ দলগুলির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন দৌপদী মুর্মুকে। এই নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। এদিকে দলবিরোধী আইনে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিরারীর পদ খারিজের আবেদন জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। এবার ২৮ জুলাই এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি করবে সংসদের প্রিভিলেজ এবং এথিকস কমিটি।
উল্লেখ্য, দলবিরোধী আইনে শিশির অধিকারীর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। যদিও শিশির অধিকারী নিজেই দাবি করেছিলেন, ‘আমি কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে তুলে নিইনি। আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব’। যদিও তাঁর এই মন্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘কৌশলী’ বলেই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে অমিত শাহের সঙ্গে একমঞ্চে এই তৃণমূল সাংসদের উপস্থিতিতে কেন্দ্র করে তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। যদিও সেই সময় মঞ্চ থেকে নেমে তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে তুলে নেননি তিনি। এরপর বিভিন্ন সময় তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কাঁথি পুরসভার বিভিন্ন ‘দুর্নীতি’-তে নাম উঠে আসছে অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠদের। এই পরিস্থিতিতে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন আনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল।