‘যে সময়ের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, আর নোটগুলি যে সময়ের, তা কি আদৌ মিলছে? এর তদন্ত হোক’। শনিবার পর রবিবার। ফের সাংবাদিক বৈঠক করে নয়া প্রশ্নের উত্থাপন করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ২০১৩-১৪ সালে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপর নোটবন্দী। তাহলে নোটবন্দীর পর এত নোট এল কোথা থেকে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, আসলে ২০১৬ সালে নোটবন্দীর পর ২০১৭সালের গোড়ার দিকে ২ হাজার নোট বাজারে এসেছে। তাহলে উদ্ধার হওয়া এত টাকা কীভাবে ২ হাজারের নোট হতে পারে? তৃণমূল সেই জায়গা থেকেই প্রশ্ন তুলছে।
রসঙ্গত, তৃণমূলের তরফে একই প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তাঁর প্রশ্ন, ‘যে নোট দেখা যাচ্ছে, তা নোট বন্দীর পরের নতুন নোট। যদি ২০১৪ সালের কেস হত, তাহলে নিশ্চয় ওই সময়ের টাকা দিয়ে থাকবে। সেটা নোটবন্দির আগের। তাহলে তখন এই নতুন নোট এল কী করে’?
কুণাল ঘোষ পার্থ ইস্যুতে দ্বিতীয় দিনের সাংবাদিক বৈঠকেও বলেন, ‘আদালতে যদি তদন্তকারীরা এমন কোনও তথ্য দেন, আদালত সেই তথ্য প্রমাণকে যদি মান্যতা দেয়, তাহলে যত বড় নেতাই হোক, তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আমরা টাইম বাউন্ড ইনভেস্টিগেশন দাবি করছি। সারদা-নারদার মতো তদন্ত, চলছে তো চলছেই, এমনটা যেন না হয়’।