তাঁদের উন্নয়নের জন্য দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী কাজ করেছেন এবার আদিবাসী এলাকায় তার খতিয়ান এবং সাফল্য তুলে ধরবে তৃণমূল। তার খতিয়ান তুলে ধরা হবে। তৃণমূল সম্পর্কে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি— এই বার্তাও দেবে তারা। শীঘ্রই প্রচার শুরু উত্তরের জেলা থেকে। সভা হবে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে প্রথমে। এর পর সভা হবে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে৷ ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর আদিবাসী এলাকায় সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে ৷ বীরবাহা হাঁসদা ও জ্যোৎস্না মান্ডিকে নিয়ে সভা করা হবে আদিবাসী এলাকায়।
আদিবাসীদের জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় কী কী করেছেন, সেই কাজ প্রচার হবে ঘরে ঘরে গিয়ে। সারি ধর্ম নিয়ে মমতার কাজ ও কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠি দেখানো হবে। শীঘ্রই শুরু হবে এই সব রাজনৈতিক কর্মসূচি। এর আগে দেখা গিয়েছে ২০১৯-এর ২১ জুলাইয়ের সভায় উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। কারণ হিসাবে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য ছিল, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ওই দুই এলাকাতেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি, একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল তৃণমূল। তারই প্রভাব পড়েছিল তৃণমূলের শহিদ দিবসে। যদিও পরবর্তীতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে অনেকটাই সাফল্যের মুখ দেখেছে ঘাসফুল শিবির।