সম্প্রতি নতুন সংসদ ভবনে অশোকস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের দাবি, জাতীয় প্রতীকের অবমাননা করা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনের অতিকায় ব্রোঞ্জ নির্মিত স্তম্ভের সিংহগুলিকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। সকলেরই এক দাবি, এই অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি চেহারায় হিংস্র। অথচ সারনাথের মন্দিরের যে অশোক স্তম্ভকে ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তার সিংহগুলি অনেক শান্ত প্রকৃতির। এবার জাতীয় প্রতীকের বিকৃতি সংক্রান্ত বিতর্ক সোজা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গেল। এই অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দুই আইনজীবী। মামলাটি আজ সর্বোচ্চ আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে। যদিও মামলাটি আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করবে কিনা, করলে কোন বিচারপতি মামলাটি শুনবেন তা আগামী সপ্তাহে ঠিক হবে।
প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, নির্মীয়মান সংসদ ভবনের মাথায় জাতীয় প্রতীকে সিংহর মুখটি হিংস্র এবং আক্রমণাত্মক। কিন্তু সারনাথের জাদুঘরে রাখা সিংহগুলির মুখ শান্ত প্রকৃতির। নির্মীয়মান সংসদ ভবনের মাথায় বসানো জাতীয় প্রতীকে ২০০৫-এর ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক (বিকৃত ব্যবহারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা) আইন লঙ্ঘন করেছে। মামলাকারি দুই আইনজীবী আলদানিশ রেন এবং রমেশ কুমার মিশ্র যুক্তি দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধন করা রাষ্ট্রীয় প্রতীকটিতে চিত্রিত সিংহগুলি মুখ খোলা এবং দাঁত বেরিয়ে আছে। যা দেখে সেগুলিকে ক্রুদ্ধ, হিংস্র এবং আক্রমণাত্মক বলে মনে হচ্ছে।এরফলে রাষ্ট্রীয় প্রতীকের পবিত্রতা লঙ্ঘিত হয়েছে। যা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। দুই আইনজীবী তাঁদের আবেদনে আরও বলেছেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পরিচয়ের চিহ্ন। ভারত প্রজাতন্ত্রের শেষ কথা হল ভারতীয়রা। রাষ্ট্রীয় প্রতীকের বিকৃতি দেশের নাগরিকদের অনুভূতিতে আঘাত করার শামিল।