উনিশের পর বাইশ। দুবছর পর ফের সশরীরে শহিদ দিবস। ধর্মতলায় তৃণমূলের ঐতিহাসিক সমাবেশ। যা নিয়ে কর্মী সমর্থকদের আবেগ একটু বেশিই। শীর্ষনেতাদের দাবি, আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বাইশের একুশে জুলাইতে। এবার একুশের সভায় দলনেত্রী কী বার্তা দেন শোনার অপেক্ষায় রয়েছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এরই মাঝে রাজ্য রাজনীতিতে যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল এবারের একুশের মঞ্চে কী চমক থাকতে চলেছে?\
একুশের নির্বাচনের আগে যে যোগদান মেলা বিজেপি শুরু করেছিল তা একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকে সেটাই ব্যুমেরাং হয়ে উঠেছে। একাধিক বিধায়ক–সাংসদ থেকে নেতা–কর্মীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর আজ একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের হাইভোল্টেজ শহিদ দিবস। সেখানে কোন হেভিওয়েট শিবির বদল করবেন? এই প্রশ্নেই আপাতত তোলপাড় চলছে গেরুয়া শিবিরে। জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘একুশের মঞ্চে যা চমক থাকবে, দেখতে পারবেন।’
প্রতি বছরই কোনও না কোনও হেভিওয়েট একুশের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এটাই রীতি হয়ে গিয়েছে। এবারের প্রশ্ন সেটা কে হবেন? সংখ্যাটা কি এক নাকি একাধিক? তারা কারা? রাজনীতির লোক, নাকি কোনো তারকা? উঠছে প্রশ্ন, যার উত্তরে এখনও মুখে কুলুপ তৃণমূল নেতৃত্বের।
বুধবার ধর্মতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চমক মানেই কি যোগদান, একটু অপেক্ষা করুন, রাত পোহালেই দেখতে পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বলবেন সেটাই তো চমক! কিন্তু এতে কি আর কৌতুহল মেটে? নেতা, নেত্রীরা এ নিয়ে কোনও উত্তর না দিলেও দলের অন্দরে কান পাতলে উঠে আসছে বেশ কিছু নাম। কয়েক দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আসা শোভন চট্টোপাধ্যায় হলেন সেই নামের ‘নর্ম্যাল চয়েজ’। তবে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত এ নিয়ে কেউ কোনও মুখ খোলেননি। তাই সময়ের অপেক্ষা, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই হবে জল্পনার অবসান।