অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কার্যত হই হই পড়ে গিয়েছিল। সেই বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। আবারও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুললেন আম আদমি পার্টি সাংসদ সঞ্জয় সিং। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তির স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি দাবি করেছেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার সেনায় নিয়োগে প্রার্থীদের জাতের পরিচয়পত্র দিতে হচ্ছে! সেনায় সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। তা হলে নিয়োগপত্রে কেন প্রার্থীকে জাতির উল্লেখ করতে হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সেই কারণেই মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুললেন আম আদমি পার্টি সাংসদ সঞ্জয় সিং। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তির স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি দাবি করেছেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার সেনায় নিয়োগে প্রার্থীদের জাতের পরিচয়পত্র দিতে হচ্ছে! সেনায় সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। তা হলে নিয়োগপত্রে কেন প্রার্থীকে জাতির উল্লেখ করতে হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সঞ্জয়ের টুইটকে অস্ত্র করে মোদী সরকারকে বিরোধীদের সম্মিলিত নিশানা- ”মোদীজি অগ্নিবীর তৈরি করতে চাইছেন, নাকি জাতিবীর?” শুধু স্ক্রিনশট শেয়ার করেই ক্ষান্ত থাকেননি সঞ্জয়।
টুইটারে তাঁর জোরালো প্রশ্ন, ”মোদী সরকারের নিন্দাজনক চেহারা দেশের সামনে এসে গিয়েছে। মোদীজি কি দলিত, ওবিসি এবং আদিবাসীদের সেনায় নিয়োগে উপযুক্ত মনে করেন না? ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম সেনায় নিয়োগে প্রার্থীদের জাতির নাম বলতে হচ্ছে। মোদীজি, আপনি অগ্নিবীর তৈরি করতে চাইছেন, না জাতিবীর?” এমনকী, বিহারের জেডিইউ নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহাও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে টুইটারে প্রশ্ন করেছেন, সেনায় নিয়োগে সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। তা হলে অগ্নিবীরদের জাতি কেন জানাতে বলা হচ্ছে? লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ”ভারতের সেনা সবার, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সেনায় যোগ দেওয়ার সমান অধিকার আছে৷ জাতপাতের ভিত্তিতে সেনায় নিয়োগ যদি মোদী সরকারের উদ্দেশ্য হয়, তা হলে তা ভারতের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক সঙ্কেত৷” তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, ”আসলে জাতিভিত্তিক সেনাবাহিনী তৈরির চেষ্টা করছে মোদী সরকার৷ এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রবণতা৷”