আগামীকাল ২১শে জুলাই। ফের ধর্মতলায় ফিরতে চলেছে তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান। করোনা অতিমারীর কারণে দু’বছর তা স্থগিত ছিল। এবার ফিরছে সেই সমাবেশ। বৃহস্পতিবার সারা বাংলা থেকে দলে দলে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কর্মী-সমর্থকরা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের থাকা খাওয়ার জন্য ক্ষুদিরাম অনুশীল কেন্দ্র, গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম, শিয়ালদহ স্টেশনের, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের মতো বিভিন্ন জায়গায় শিবির তৈরি করা হয়েছে৷ যেহেতু দু’ বছর পর ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সভা হচ্ছে, তাই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহও দ্বিগুণ৷ যত সময় যাচ্ছে, শিবিরগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়৷
আয়োজনে হাজির হাজার হাজার ডিম, কয়েকশো কেজি চাল৷ প্রায় সর্বক্ষণই জ্বলছে একটি বা দুটো বড় উনুন৷ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র হোক বা দক্ষিণ কলকাতার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, গত দু’দিন ধরে ছবিটা একইরকম। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নেতা কর্মীদের থাকা, খাওয়া সবকিছুর তদারকি করে যাচ্ছেন সুব্রত বক্সী, তাপস রায়, দেবাশিস কুমারের মতো দলের প্রথম সারির নেতারা৷ কসবার গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামেও ছবিটা একই রকম৷ সেখানেও মূল পদ হিসেবে ভাতের সঙ্গে থাকছে ডিমের ঝোল৷ সঙ্গে থাকছে ডাল৷ গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামেও প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ স্টেডিয়ামে স্থান সংকুলান না হলে স্থানীয় ক্লাব, কমিউনিটি হলেও কর্মী, সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ৷ সবমিলিয়ে এবারের ২১শে জুলাই নিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উন্মাদনা চরমে।