এবার অস্বস্তি বাড়ল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের। মুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার জলসম্পদ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী দীনেশ খটিক পদত্যাগ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর। যদিও সরকার এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন ওই মন্ত্রী। লখনউয়ের মন্ত্রী বাংলো, সরকারি গাড়ি ও রক্ষী ছেড়ে দিয়ে মেরঠের বাড়ি চলে গিয়েছেন। এদিকে, আচমকা সব সরকারি কর্মসূচি বাতিল করে লখনউ ছেড়েছেন আর এক মন্ত্রী জিতিন প্রসাদও। তিনি যোগী মন্ত্রিসভার পূর্তমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, শুধু এই দু’জনই নন, একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ চলছে মুখ্যমন্ত্রীর। মন্ত্রীদের বক্তব্য, যোগী মন্ত্রীদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন না। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর হস্তক্ষেপ এতটাই বেড়েছে যে মন্ত্রীদের পিএ, পিএস পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর অফিস ঠিক করে দিচ্ছে। মন্ত্রিসভায় দু’জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী আছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যাবতীয় শলাপরামর্শ করেন হাতে গোনা কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে। টিম যোগীর অফিসারদের নিয়ে শুধু মন্ত্রীরাই নন, অসন্তোষ ছড়িয়েছে আমলাদের মধ্যেও। উল্লেখ্য, গত মার্চে দ্বিতীয়বার মন্ত্রিসভা কার্যভার গ্রহণের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে বলে দেওয়া হয়, পুরনো মন্ত্রীরা আগের পিএ-পিএসদের এবার সঙ্গে রাখতে পারবেন না। নতুন মন্ত্রীদের পিএ-পিএসের নাম মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে মন্ত্রীরা বেশিরভাগই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি।
জানা গিয়েছে, জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী খটিক মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে পাঠানো পদত্যাগপত্রের কপি পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। তাতে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। বলেছেন, আমি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই কারণে ক্যাবিনেট মন্ত্রী সত্যেন্দ্র দেব এবং অফিসারেরা কেউ তাঁর কথা শোনেন না। চার মাস হয়ে গেল মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তাঁকে কোনও কাজ দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতিমন্ত্রীদেরও গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁকে কোনও কাজের ভার দেওয়া হয়নি। ক্ষুব্ধ পূর্তমন্ত্রী জিতিন প্রসাদও। যোগী তাঁর এক ওএসডি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক)-কে সরিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছেন দু’বছর আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা জিতিন।