গত ২২ জুন দুপুরে আচমকাই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। সোজা ১৪ তলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সেখান থেকে বেরোনোর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে শোভন বলেছিলেন, ‘মমতাদির কথা, তাঁর ইচ্ছা বাস্তবায়িত করাটাই আমার কর্তব্য বলে আমি মনে করেছি এবং আমার রাজনীতিক জীবনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রিক।’ আর তারপর থেকেই মমতার প্রিয় ‘কানন’-এর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছিল। একুশে জুলাইয়ের প্রাক্কালে শোভনের সেই জল্পনাই আরও জোর পাচ্ছে।
তবে তিনি একা নন, খুব সম্ভবত তাঁর হাত ধরেই ফের জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই মুহূর্তে শহিদ দিবস ঘিরে রাজ্য জুড়ে শাসকদলের প্রস্তুতি চরমে। শোনা যাচ্ছে, সেই ২১-এর মঞ্চেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে শোভন-বৈশাখীর। বৃহস্পতিবার শহিদ স্মরণ মঞ্চে শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে যোগদানের খবর ঘিরে নানারকম খবর সামনে আসছে। সূত্রের দাবি, ২২ জুনের পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহে দফায় দফায় শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে কথা হয়েছে তৃণমূলনেত্রীর। শোভন দলে ফিরলে তাঁর কী ভূমিকা হবে, সেই বিষয়ে খোলাখুলি কথা হয় দু’পক্ষের।