বাঙালি মানেই পাত পেড়ে সাদা ভাত ডাল মাছ ইত্যাদি। কিন্তু শুধুই সাদা চালের ভাত নয়। জানা গেছে, বাংলার মাঠে ঘাটে সম্প্রতি কালো ভাতের চাষ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। বাঙালির হেঁশেলে এখনও পুরোদস্তুর জায়গা করে নিতে পারেনি কালো চালের ভাত। তবে দিন দিন তার জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়ে ফেলছে। চারদিকে যে হারে ব্ল্যাক রাইসের বিক্রি বাড়ছে তাতে আর ক’দিন পর এই ভাতের কথা লোকের মুখে মুখে ফিরবে। আর হবে নাই বা কেন? কত গুণ এই কালো চালের ভাতের! পুষ্টিগুণে এই ভাত সাদা ভাতকে বলে বলে কয়েক গোল দেবে। কালো চালের ভাতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি। বিশেষ করে ক্যানসার প্রতিরোধে এই চালের বিকল্প হয় না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সুগার, কোলেস্টেরলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে কালো চাল। দিকে দিকে ব্ল্যাক রাইসের চাহিদা যেমন বাড়ছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তার উৎপাদনও।
বাংলার মাঠে ঘাটে সম্প্রতি কালো ভাতের চাষ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। এই ধানের চাষে খরচ অপেক্ষাকৃত কম। সেই সঙ্গে বাজারে বিক্রি করলে দামও পাওয়া যায় অনেক। তাই আজকাল চাষিরা এই ধরনের চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামসহ বেশ কিছু এলাকায় কালো ধানের চাষ হচ্ছে রমরমিয়ে। চলতি মরসুমে ঈজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে চারা রোয়ার কাজ। এই সমস্ত অঞ্চলে প্রথমে কৃষি দফতরের উৎসাহেই কালো ধানের চাষ শুরু হয়েছিল। সরকার থেকে চাষিদের বিনামূল্যে বীজধান ও জৈবসার দেওয়া হয়েছিল। এখন বোরো, আমন ধানের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে কালো ধান চাষ। কালো ধানের ভাতের রঙও হয় কালো। এই ভাত কিছুটা আঠালো হয়। ফলে দুই কাঠি দিয়ে এই ভাত খাওয়ার চল রয়েছে। সহজেই কাঠির মাধ্যমে কালো ভাত মুখে তোলা যায়।