প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চারপাশ অন্তত সাত-আটবার রেইকি করেছিলেন অনুপ্রবেশকারী হাফিজুল! রাতভর মমতার বাড়িতে ঘাপটি মেরে বসে থাকার দিন দশেক আগেও একবার সেই এলাকা ঘুরে গিয়েছিলেন। সোমবার আদালতকে অভিযুক্ত সম্পর্কে আরও নানা তথ্য দিয়েছেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী। এদিন অভিযুক্ত হাফিজুলের আইনজীবী জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাফিজুলকে ১৮ই জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধমূক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ১২০বি ধারাতেও নতুন করে মামলা হয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে গত ২রা জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন হাফিজুল, তা জেরা করে জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে সরকারি পক্ষের আইনজীবী আলাদতকে জানান, মমতার বাড়িতে অনুপ্রবেশের আগে কমপক্ষে সাত-আটবার রেইকি করেছিলেন হাফিজুল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকার ছোটদের চকোলেট, কোল্ডড্রিংঙ্কস খাইয়ে খবর বের করারও চেষ্টা করেন তিনি। আরও জানা গিয়েছে, হাফিজুলের কাছ থেকে ১১টি সিম কার্ড ছিল। বাংলাদেশে একাধিকবার ফোন করেছিলেন তিনি। এমনকী তাঁর ফোন থেকে ফোন গিয়েছিল বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বেশ কিছু ছবি মোবাইলে তুলেছিলেন হাফিজুল। সেগুলি কাকে পাঠানো হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। এমনকী দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় সাঁতরে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরেন কয়েকদিন পর। কী উদ্দেশ্য সেখানে গিয়েছিলেন, তা নিয়েও এখনও সংশয় রয়েছে। তবে কোনও বড়সড় ষড়যন্ত্র ছকেই যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন হাফিজুল, তথ্য অনুযায়ী ইঙ্গিত মিলেছে তেমনই।