এই কিছুদিন আগে আকাশ ছোঁয়া দাম বেড়েছিল জ্বালানি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছিল সাধারণ মানুষের। আবারও সেই দুঃস্বপ্নের দিন নেমে আসতে চলেছে মধ্যবিত্তের মাথার উপর। ফের খরচ বাড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের। নিত্যপ্রয়োজনীয় একগুচ্ছ জিনিসে খরচ বাড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের। যার ফলে কার্যত মাথায় হাত পড়বে আমজনতার। মঙ্গলবার থেকেই দুধ, দইয়ের মতো রোজকার জিনিসেও চাপছে জি এস টি। মূলত, লেবেলযুক্ত প্যাকেটজাত খাবারে এই জি এস টি বসতে চলেছে। জুনের শেষে জি এস টি। কাউন্সিলের মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফলে বাড়বে খরচ। এই জিএসটি বসার পর থেকেই বেশ কিছু জিনিসের দাম বাড়তে চলেছে। প্যাকেটজাত যে কোনও খাবারের উপরেই বসছে জিএসটি।
কোম্পানির লেবেল-সহ বিক্রি হলেই প্যাকেটজাত খাবারে জিএসটি দিতে হবে। জুলাইয়ের ১৮ তারিখ থেকে প্যাকেটজাত দুধ, লস্যি, মাখনে বসবে ৫ শতাংশ জি এস টি। আগে এই পণ্যগুলি জি এস টি-এর আওতা থেকে বাইরে ছিল। নয়া সিদ্ধান্তে ১৮ শতাংশ জি এস টি বসছে ব্যাঙ্কের ইস্যু করা চেকের উপর। অর্থাৎ এখন থেকে ব্যাঙ্কের প্রতিটি চেকের পেজের দাম আরও বাড়তে চলেছে। অ্যাটলেস সহ মানচিত্র এবং চার্টগুলি ১৮ জুলাই থেকে ১২ শতাংশ হারে জিএসটি চার্জ করা হবে৷ এছাড়া, অ্যাটলাস, ম্যাপ, চার্টের দামের উপর মঙ্গলবার থেকে ১৮ শতাংশ জি এস টি বসতে চলেছে। পাশাপাশি দাম বাড়বে নানা লাইটেরও। ১৮ শতাংশ জি এস টি-র আওতায় আসছে এল ই ডি লাইট, ল্যাম্পগুলি। এগুলিতে আগে ১২ শতাংশ জি এস টি ছিল। একই ভাবে পেন্সিল কাটার, ব্লেড, চামচ ইত্যাদিতেও বসছে ১৮ শতাংশ জি এস টি। ফলে এই জিনিসগুলির দাম বাড়তে চলেছে।