১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কা কলম্বোয় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে ৫৪৭ রান করে। সেটাই ছিল অজিদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার টেস্টে সর্বোচ্চ রান। দীনেশ চন্ডীমলের অপরাজিত দ্বিশতরানের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে তুলল ৫৫৪ রান। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫০০ বা তার বেশি রান করল শ্রীলঙ্কা। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংসের নজির গড়ল দিমুখ করুণারত্নের দল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে ৫০০ বা তার বেশি রান করতে শ্রীলঙ্কার লেগে গেল ৩০ বছর। প্রথম এবং শেষ বার শ্রীলঙ্কা এই নজির গড়েছিল ১৯৯২ সালে। অর্জুন রণতুঙ্গার দল অ্যালান বর্ডারদের বিরুদ্ধে করেছিল ৮ উইকেটে ৫৪৭ রান। ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করার মাশুল দিতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। কলম্বোয় আয়োজিত সেই টেস্ট ১৬ রানে হেরে গিয়েছিল রণতুঙ্গার দল। টেস্টে প্রথম দ্বিশতরান করলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার দীনেশ চন্ডীমল। মিচেল স্টার্কের বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে ২০০ রান করলেন তিনি। মিচেল স্টার্ককে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে টেস্টে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করলেন দীনেশ চন্ডীমল।
তাঁর দাপটে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১৯০ রানের লিড নিয়ে শেষ করল শ্রীলঙ্কা। গণবিক্ষোভে অশান্ত শ্রীলঙ্কাবাসীর মুখে হাসি ফেরালেন চন্ডীমল। গ্যালারিতে নাচলেন দর্শকরা। উড়ল দেশের পতাকা। তৃতীয় দিনের শেষে ১১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন চন্ডীমল। চতুর্থ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। তবে অপর প্রান্তে বিশেষ সুবিধা পাননি তিনি। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। জয়সূর্য যখন আউট হন তখন দলের রান ৯ উইকেটে ৫০৫। চন্ডীমল খেলছেন ১৫৯ রান করে। শেষ উইকেটে ৪৯ রান হল। পুরো রানটাই করলেন চন্ডীমল। নিলেন মাত্র ২০ বল। ১৮৫ রান থেকে ২০০ রানে যেতে মাত্র তিনটি বল নেন চন্ডীমল। স্টার্ককে প্রথম বলে চার ও পরের দু’বলে দু’টি ছক্কা মেরে দ্বিশতরান করেন তিনি। তার মধ্যে দ্বিতীয় বলে চন্ডীমলের মারা ছক্কা মাঠের বাইরে রাস্তায় গিয়ে পড়ে। একটি ছেলের পেটে গিয়ে লাগে সেই বল। রাস্তা থেকে বল আবার মাঠে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৫৫৪ রানে। ২০৬ রান করে অপরাজিত থেকে যান চন্ডীমল। টেস্টে এখনও এক দিন ও দু’টি সেশন বাকি। খেলা যে ভাবে গড়াচ্ছে তাতে পাল্লা ভারী শ্রীলঙ্কার।