দীর্ঘ ১০ বছর পরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরে গঠিত হতে চলেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। আর সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে চলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিটিএ-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ-সাজ রব গোটা পাহাড় জুড়ে৷ সুকনা পেরিয়ে রোহিনী রোড ধরে পাহাড়ের রাস্তা ধরলে প্রতি বাঁকে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার।
একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে আবেদন জানিয়ে অনীত থাপার যে সব পোস্টার ছিল, তাতে সামান্য বদল আনা হয়েছে। সেখানে স্বাগত জানাতে অনীত থাপার পোস্টার দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের উন্নয়নে নয়া মাইলস্টোন যে দার্জিলিং হতে চলেছে তার উল্লেখ রয়েছে এই সব পোস্টারেই। বৃষ্টিস্নাত পাহাড়ে, এই ছবি কার্যত পাহাড়ের উৎসবের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
আজ দুপুর দুটো নাগাদ বিশেষ বিমানে বাগডোগরায় এসে পৌছবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল দুপুর ১২’টা নাগাদ দার্জিলিং ম্যালে এক সঙ্গে ৪৫ জন জিটিএ সদস্য শপথ নেবেন। জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনার অজিত রঞ্জন বর্ধন শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। আর এই অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব দার্জিলিং ম্যালে। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় আসার পথে সাজ সাজ রব৷ ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে বরাবর স্পেশাল৷ আমি ওনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছি। উনি আসছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ এবার আমাদের কাছেও স্পেশাল’।
সূত্রের খবর, বাগডোগরা থেকে দার্জিলিং অবধি গোটা যাত্রা পথের একাধিক জায়গায় হাজির থাকবেন অনীত থাপার দলের সদস্য ও কর্মীরা। দুপুর বেলা যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আসবেন তাই বেশি সংখ্যক কর্মীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। রোহিনী মোড় থেকে কার্শিয়ং অবধি নানা জায়গায় হাজির থাকবেন একাধিক সাংস্কৃতিক শিল্পীরা।
সূত্রের খবর, অনীত থাপা নিজে হাজির থাকবেন কার্শিয়ং রেল স্টেশনের কাছে৷ এছাড়া দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ড অবধি বিভিন্ন জনজাতির মানুষ তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে হাজির থাকবেন। অন্যদিকে সভাসদরা শপথ নেওয়ার পরেই হবে চিফ এক্সিকিউটিভ পদের শপথ গ্রহণ৷ আগামী ১৫ জুলাইয়ের পরে অনীত থাপা সহ গরিষ্ঠ অংশকে এই বিষয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন করতে হবে। সরকার সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে৷ এরপর চিফ এক্সিকিউটিভ পদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করা হবে৷ আগামী পরশু ১৩ তারিখ নেপালি কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন৷ সেই অনুষ্ঠানেও পাহাড়ে হাজির থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।