নির্ঘন্ট সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। তারপর থেকে অনবরত ভেসে চলেছে পাহাড়। এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে অমরনাথ যাত্রায় নামে ধস। সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অমরনাথ গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে অমরনাথ গুহার নীচে থাকা পুণ্যার্থীদের তাঁবু এবং কমিউনিটি কিচেন জলের তোড়ে ভেসে যায়। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস নেমে বিপদজনক অবস্থা। অমরনাথ যাত্রায় নিখোঁজ বহু বাঙালি। সেই ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সোমবার থেকে চালু হয়েছিল অমরনাথ যাত্রা। আবারও খোঁজ পাওয়া গেল অমরনাথ যাত্রায় গিয়ে নিখোঁজ সোদপুরের ৩ তীর্থযাত্রীর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ জুলাই সোদপুরের উত্তর নাটাগড় থেকে সপরিবারে তীর্থযাত্রায় গিয়েছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী নারায়ণচন্দ্র দে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রুমা ও ছেলে সাগর। পরিজনদের দাবি, গত ৭ জুলাই শেষবার যোগাযোগ করা গিয়েছিল তাদের সঙ্গে। অমরনাথে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের একই পরিবারের ৩ সদস্যের খোঁজ পাওয়া গেল।
তাদের উদ্ধার করে সিমলা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। এই খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন পরিবারের সদস্যরা। গত শুক্রবার অমরনাথে হড়পা বান আসার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে দাবি পরিবার ও প্রতিবেশীদের। যার ফলে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে তারা। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছেন তাঁরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ জুলাই সোদপুরের উত্তর নাটাগড় থেকে সপরিবারে তীর্থযাত্রায় গিয়েছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী নারায়ণচন্দ্র দে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রুমা ও ছেলে সাগর। পরিজনদের দাবি, গত ৭ জুলাই শেষবার যোগাযোগ করা গিয়েছিল তাদের সঙ্গে। তার পর বার বার চেষ্টা করেও ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এই নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘোলা থানায় ৩ জনের নামে দায়ের হয় নিখোঁজ ডায়েরি। সোমবার সকালে নারায়ণবাবুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা জানান, অমরনাথ বিপর্যয়ে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের উদ্ধার করে সিমলা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই রয়েছেন তাঁরা। ফেরার চেষ্টা করছেন।