শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় চরমে উঠেছিল বিতর্ক। তার জেরেই অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হল মোদী সরকার। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে আগামীকাল ১১ই জুলাই শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন হতে চলেছে। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় প্রবল নিন্দার মুখে পড়ে মোদী সরকার। শেষমেশ মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, সোমবার ই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বিতর্ক থামাতেই কি তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হল? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আগামীকাল নবনির্মিত হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। ওইদিনই জিটিএএর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা। শনিবার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতির সময়ে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করা হচ্ছে। মেয়র জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে চরমে ওই রাজনৈতিক তরজা। এরপরেই বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক পরেশ পাল, মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ একাধিক বিধায়ক ও সাংসদকে উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।