আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কানোয়ার যাত্রা। গত দু’বছর অতিমারীর কবলে পড়ে বন্ধ থেকেছে এই যাত্রা। এবার তাই উৎসাহ-উদ্দীপনা আরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে এবার উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার জানিয়ে দিল, কানোয়ার যাত্রার পথে কোথাও প্রকাশ্যে বিক্রি করা যাবে না মাংস। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় স্তর- সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশ।
সম্প্রতি এক বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশ দেন কানোয়ার যাত্রার জন্য নির্ধারিত পথগুলি যেন ভক্তদের জন্য পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। পরে রাজ্যের অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র মুখ্য সচিব অবনীশ অবস্তি বলেন, ‘কানোয়ার যাত্রীরা যাতে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণ ভাবে যাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে’।
বরেলির পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট সত্যার্থ অনিরুদ্ধ পঙ্কজ জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই ক’দিন প্রকাশ্যে ওই পথে কোথাও মাংস বিক্রি না করা হয়। ব্য়বসায়ীরা আমাদের কথাও দিয়েছেন তাঁরা এই নির্দেশ মেনে চলবেন’।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত কানোয়ার যাত্রায় যান। হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজল নেওয়াই কানোয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য। এরপর সেই জল ভগবান শিবের মাথায় ঢালা হয়। আটের দশকে কানোয়ার যাত্রা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। তার আগে অল্প সংখ্যক মানুষ এবং সন্ন্যাসী এই যাত্রায় যেতেন। কিন্তু আটের দশকের পর থেকে সারা ভারত থেকে শিবভক্তরা গঙ্গা জল সংগ্রহের জন্য প্রতি বছর এই যাত্রা করে থাকেন।