শনিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের একটি পানশালায় চলল এলোপাথাড়ি গুলি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন এক ব্যক্তি মিনি ট্যাক্সি করে পানশালার সামনে উপস্থিত হয়। ভেতরে ঢুকে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে সোয়েটো শহরে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। রবিবার পানশালা থেকে মৃতদের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গুরুতর জখম হয়েছেন আরও তিন জন। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, “প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, বারে উপস্থিতরা নিজেদের মতো করে আনন্দ করছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। সেই সময় তাঁদের অনেকের মৃত্যু হয়। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য হাতে আসেনি।” এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সন্ত্রাসের লক্ষ্যেই এই হামলা। কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য করে নয়। এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-কে কিছুদিন আগেই নির্বাচনী জনসভায় গুলি করা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তাঁর। সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা করে। কিন্তু, তা সম্ভব হয়নি। গত শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ পশ্চিম জাপানের নারা শহরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। জানা গিয়েছে, শিনজো আবের গলায় গুলি লাগে। মোট দু’টি গুলি ছোঁড়া হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাস্তায়তেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় জানা যায়, শিনজো আবের হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত বন্দুকটি নিজের হাতেই তৈরি করেছিল দুষ্কৃতী, জেরায় জানা যায় এমনটাই। ২০২০ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শিনজো আবে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। “এমন ঘটনা বিশ্বের কোনও গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়”, জানান ফুমিও।