রাজ্যে বিরোধী দলগুলি কর্মিসভা বা বৈঠক করতে চাইলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। শনিবার সেই রায় জানায় আদালত। তাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর সেই আবেদনে সায় নেই কলকাতা হাইকোর্টের।
তবে একই সঙ্গে রাজ্যকেও কলকাতা হাইকোর্টের থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়, যেন কেবল উপযুক্ত ক্ষেত্রেই ১৪৪ ধারা ব্যবহার করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এমন আশঙ্কা প্রকাশের ক্ষেত্রে যথার্থ উপাদান বা ভিত্তি নেই।
মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, আদালতের নির্দেশের পরেও শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু আইনজীবীরা। অভিযোগ ছিল, ২৫ জুন নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় সভা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বিরোধী দলের সভাপতিকেও বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য এর আগে গত বছর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, বিরোধী দলনেতা চাইলে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তেই যেতে পারেন। আদালতের এই নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। আগামী দিনে যাতে আর এমন ঘটনা না হয়, তার জন্য আদালত যাতে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেয়, কলকাতা হাইকোর্টে সেই আবেদনই করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শনিবার হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সেই আবেদনে সায় নেই আদালতের।