সম্প্রতি মেদিনীপুর সফরে গিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘গাছ কাটা, বালি কাটা, মাটি কেটে বিক্রি করা বরদাস্ত করা হবে না। যে-ই করুক, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। প্রাকৃতিক সম্পদ এভাবে কেটে, তুলে বিক্রি করা যায় না।’ কিন্তু তারপরও হুগলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাটি চুরির খবর সামনে আসছিল। আর তাই মাটি চুরি রুখতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
হুগলির বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে ট্রলার করে মাটি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার সেখান থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও টনক নড়েনি পাচারকারীদের। এরপর বৃহস্পতিবারও গুপ্তিপাড়ায় বালি তুলে পাচার করার কাজ চলছিল। সেই সময় গভীররাতে হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলেন বিধায়ক। দুটি অবৈধ বালি ভর্তি ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই মাটি পাচারের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বলাগড়ের গঙ্গার পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে গিয়ে বাইরে বেচে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গঙ্গার মাটি বাইরে বিক্রি হত দেদার। এর আগেও পুলিশের তরফে মাটি চুরি রোধের জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এবার মাটি চুরি রুখতে তাই মাঠে নামেন খোদ বিধায়ক। আর মাঠে নেমেই একের পর এক বালি পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরছেন তিনি। জানা গিয়েছে, হুগলির গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটের কাছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুটি অবৈধ ট্রলারে বালি ভর্তি করা হচ্ছিল। সেই সময় সেখানে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। পাশাপাশি ট্রলার দুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।