মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি সবসময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকেন। পাশে থাকেন। এবং চিন্তা করেন কীভাবে উপকার হবে প্রত্যেকের। সেই ভাবনা থেকেই বারবার বিভিন্ন প্রকল্প সর্বোপরি চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো!’ তারপর গত ১৮ জুন পৈলানে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘এক ডাকে অভিষেক’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন তিনি। সেই ঘোষণায় একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়। ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বর দিয়ে তাতে ফোন করে এলাকাবাসীকে তাঁদের যাবতীয় সমস্যার কথা সাংসদকে জানাতে বলেন অভিষেক। বাংলার রাজনীতিতে নিজের কেন্দ্রের জন্য এমন জনসংযোগের প্রয়াস নিঃসন্দেহে অভিনব বলেই মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। কিন্তু কেবলমাত্র এক ডাকে অভিষেকেই আটকে না থেকে নিজের প্রতিনিধি নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পাঠাচ্ছেন সাংসদ। নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যেতে চাইছেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজের এই কর্মসূচিকে কেবল ফোনালাপেই আটকে না রেখে আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক। সেই কর্মসূচির নির্দেশ ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অধীন জেলা থেকে শুরু করে ব্লক স্তরের নেতাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
এই কর্মসূচির জন্য পুর এলাকাগুলিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতিকে। ডায়মন্ডহারবার এলাকায় চারটি পুরসভা রয়েছে। মহেশতলা, বজবজ, পুজালী ও ডায়মন্ডহারবার। সেই পুরসভাগুলিতে বুথভিত্তিক বাড়িতে যাওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে বিষ্ণুপুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতি, বজবজ -১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতি, ডায়মন্ড হারবার -১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতি এবং ফলতা পঞ্চায়েত সমিতি। এই সাতটি ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সংশ্লিষ্ট গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান, ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতিদের। ‘এক ডাকে অভিষেকে’ কর্মসূচিতে নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে থাকা-খাওয়ার বদলে দিনের বেলায় বাসিন্দাদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা জেনে সাংসদের দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ‘দিদিকে বলো’-র মতো এই কর্মসূচিও প্রশান্তর সংস্থা আইপ্যাকের মস্তিষ্কপ্রসূত। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী এক নেতার কথায়, “আমরা দিন কয়েক হল আমরা এই কর্মসূচি শুরু করেছি। এ ভাবে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে আমরা এমন অনেক কথাই জানতে পারছি যা বাইরে থেকে রাজনীতি করলে জানতে পারতাম না। তাই সাংসদের নেওয়া এমন উদ্যোগ সফল হবে বলেই আশা করছি।”