বেশ কিছুদিন ধরেই আভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত রাজ্য সিপিএম। এবার তা সামাল দিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বে রদবদল ঘটাতেই বাড়ল বিতর্ক। উঠল পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ!
প্রসঙ্গত, জেলা সম্মেলনের পরে উত্তর ২৪ পরগনায় যে জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হয়েছিল, সেখানে পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবেই জায়গা পেয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ও অশোকনগরের নেতা বাবুল কর। কিন্তু দলের সর্বক্ষণের কর্মী না হওয়া সত্ত্বেও তন্ময় কী ভাবে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে থাকবেন, তা নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। যদিও তন্ময় আগেও ওই কমিটিতে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে জানিয়েছে, সর্বক্ষণের কর্মীর নীতি এবার মানতেই হবে।
বৃহস্পতিবার বারাসতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে জেলা কমিটির বৈঠকে তন্ময়বাবু ও বাবুলবাবুকে পূর্ণাঙ্গ সদস্য থেকে সরিয়ে আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। আগের আমন্ত্রিত রাজু আহমেদকে পূর্ণাঙ্গ সদস্য করে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে তিনি আর সক্রিয় রাজনীতি করতে চান না বলে জানিয়ে হাতজোড় করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তন্ময়।
পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। তবে তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। ফলে প্রকাশ্যে এসে পড়েছে মতানৈক্য। কিন্তু বিতর্কের শেষ এখানেই নয়। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবেই জায়গা দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর ও ঝন্টু মজুমদারকে। বাবুল ও সত্যসেবী দুই ভাই হওয়ায় দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, একই পরিবারকে নেতৃত্বে আর কত জায়গা দেওয়া হবে! বামপন্থী দলে কি এমন রেওয়াজ থাকা উচিত? স্বাভাবিকভাবেই এ হেন পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উঠতে অস্বস্তিতে পড়েছে আলিমুদ্দিন।
Read: মণিপুরের ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা – রাজ্যের ৪ বাসিন্দা-সহ মৃত্যু ১৪ জনের, নিখোঁজ অন্তত ৬০
Tweet: মণিপুরের ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা – রাজ্যের ৪ বাসিন্দা-সহ মৃত্যু ১৪ জনের, নিখোঁজ অন্তত ৬০
CPIM