অতিসম্প্রতিই ঘোষিত হয়েছে ত্রিপুরাল চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল। যার মধ্যে তিনটিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। একটিতে জিতেছে কংগ্রেস। শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে উঠছে সন্ত্রাসের অভিযোগ। এবার তার প্রতিবাদের পুরোভাগে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার আগরতলায় বৃহত্তর মিছিল করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ২ ঘণ্টার মৌন অবস্থান করলেন দলীয় নেতা, কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক, মহিলা সভাপতি পান্না দেব এবং অন্যান্য নেতারা। সন্ত্রাসের বিরোধিতা করতে এই অবস্থানে যোগ দিয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মীরা।
এবিষয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, “সারা রাজ্যে উপনির্বাচনের পরে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে, সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ভাঙা হয়েছে, মহিলাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। আমাদের প্রার্থী অর্জুন নমঃশূদ্রকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে তাঁর নিজের বাড়িতে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী নীরব। তৃণমূল কংগ্রেস এই সন্ত্রাসের সর্বক্ষণ বিরোধিতা করে চলেছে। যত বেশি তারা আক্রমণ করে, তত বেশি আমাদের আন্দোলন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রুখে দাঁড়িয়েছে।”
পাশাপাশি, সুবলবাবুর বক্তব্য, “রাজ্যে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করা দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের সন্ত্রাসের দিকে নজর রাখা উচিত। শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, অন্যান্য দলের কর্মীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কোনো ভূমিকা নেই। তাদের শুধু কিভাবে ক্ষমতায় আশা যায় সেটাই লক্ষ্য। নীতিহীন, আদর্শহীন রাজনীতি কায়েম করার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় জনতা পার্টির অপশাসন, সন্ত্রাস থেকে রাজ্যকে মুক্ত করতে চাই।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এই প্রতিবাদ মিছিল থেকেই তৃণমূল বোঝাল, ত্রিপুরায় লড়াইয়ের মাটি কামড়েই পড়ে থাকবে তারা। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় ঘাসফুল শিবির।