হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তীব্র জনরোষের মুখে পড়েছিলেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা। সেই ঘটনার জেরে তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল। কিন্তু বিতর্ক থামছে না তাতেও। জানা গিয়েছে, নূপুর শর্মাকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন পেশায় দর্জি কানহাইয়া লাল। তার পাল্টা দিতেই উদয়পুরের বাজারে দোকানের মধ্যেই নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। সেই খুনের ঘটনার ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে দুই ব্যক্তি।
ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইসিস যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু ধর্মীয় পরিচয়ের সূত্র ধরে দেশের ইসলামিক সংগঠনগুলি যে ওই দুই অভিযুক্তের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিল তারা।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড-এর মতে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ এবং তা ইসলামেরও পরিপন্থী। পাশাপাশি যে কোনও ধর্মের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে কুৎসা করলে তার যথাযথ ব্যবস্থা নিক আইন, এই আরজিও জানানো হয়েছে। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডকে বর্বরের মতো কাজ বলে মনে করে ইসলামি সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ-ও। তাদের মতে, ইসলাম কখনোই হিংসাকে প্রশ্রয় দেয় না। এমনকি রাজস্থানে অবস্থিত আজমির শরিফের প্রধান জয়নুল আবেদিন আলি খান-ও এই ঘটনাকে তালিবানি নৃশংসতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইসলামের শিক্ষা ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার কথাই বলে।