একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে দলের সিংহভাগ বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় মহারাষ্ট্রের কুর্সি হারাতে হয়েছে উদ্ধব ঠাকরেকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেও দলের কর্তৃত্ব তাঁর হাতে থাকবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে দিন কয়েকের মধ্যেই তার ফয়সালা হয়ে যাবে।
শিন্ডে শিবিরের বিধায়কদের দাবি ছিল, কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গ ছেড়ে ফের ধরতে হবে বিজেপির হাত। উদ্ধব সেই দাবি না মানায় সরকার হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে যে ৩৩ বছর ঘর করেছে শিবসেনা, তাতে কার লাভ, কার ক্ষতি হয়েছে? পরিসংখ্যান বলছে, বালাসাহেব ঠাকরের হাত ধরে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার যে জোট হয়েছিল, সেই বোঝাপড়ার সুবাদে ১৯৯৫ – এ শিবসেনা মহারাষ্ট্রে সরকার গড়লেও দিন যত এগিয়েছে, ভোটের বাক্স ততই মজবুত হয়েছে বিজেপির।
বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা বিধানসভায় সর্বোচ্চ আসন দখল করেছিল ৭৩টি। ২০১৯ – এর ভোটে তা কমে হয় ৫৬। অন্যদিকে, শিবসেনার হাত ধরার সময় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৪৪। আগের বিধানসভা ভোটে তা বেড়ে হয় ১০৬টি। বিজেপির বৃদ্ধি হয়েছে ১৫২ শতাংশ। শিবসেনার ক্ষয় হয়েছে ২৪ শতাংশ। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলের খবর, শিবসেনার কর্তৃত্ব নিজের হাতে রাখতে এই পরিসংখ্যানই এখন উদ্ধব ঠাকরের ভরসা। এই পরিসংখ্যানেই আছে তাঁর বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের পক্ষে জোরালো যুক্তি।