পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাস্তা তৈরি করতে হবে। বুধবার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটের আগেই রাস্তা তৈরি করুন। না হলে ভোট এসে যাবে, আর বসে ললিপপ খাবেন’।
তাঁর আরও সংযোজন, ‘বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগেই রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করুন। দেখবেন, রাস্তা দেখেই লোকে ভোট দিয়ে যাবে’। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ রাস্তা তৈরির কাজ করবেন বলেও স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন এবং ভোটে জয় পেতে প্রশাসনিক কাজের উপরই তিনি জোর দিচ্ছেন তা তাঁর বক্তব্য থেকেই একপ্রকার স্পষ্ট।
এদিন দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে সব রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী)। দুর্গাপুরে বৈঠকে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকলেও অন্যান্য জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ভার্চুয়ালি রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই তলবে স্বভাবতই কিছুটা আতঙ্কে রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। মূলত ১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি, এবং রাস্তাঘাট নির্মাণ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুরু থেকেই কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘বাংলার বাড়ি’ নাম নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতারা। সেই প্রসঙ্গ তুলে নাম না করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্থানে যদি রাজস্থানের বাড়ি হতে পারে, তাহলে বাংলায় বাংলার বাড়ি হবে না কেন’? কেন্দ্র নতুন করে আর টাকা দিচ্ছে না অভিযোগ তুলে আপাতত নতুন করে বাংলার বাড়ির তালিকা করতে নিষেধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘কোন অপরাধে আমাদের অপরাধী করা হল? আমরাও তো ৪০ শতাংশ টাকা দিই’। বিষয়টি সমাধান করতে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং দিল্লিতে কথা বলতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজে টাকা দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বাড়ি আপাতত বন্ধ রাখলেও গ্রামীণ রাস্তা তৈরির কাজ অবিলম্বে শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।
Mamata Banerjee