বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই বারবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকর। প্রায় প্রতিদিনই পালা করে রাজ্য সরকারকে উত্ত্যক্ত করতে দেখা যায় তাঁকে। এরই মধ্যে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্যপালের ‘বিভ্রান্তিকর’ টুইট নিয়ে ফের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা বিস্ফোরক অভিযোগগুলি আড়াল করতেই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। ধনকড়ের উদ্দেশ্যে তাঁর চ্যালেঞ্জ, এভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়িয়ে দু’পক্ষ একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করুক। তাতে সত্য প্রকাশ্যে আসবে।
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে আশ্রয় নেওয়া অভিযুক্তরা যাতে রেহাই না পায়, সেই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে শাসক দলের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল জানায়, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল এবং সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে এই আলোচনা জারি থাকবে। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যে টুইট করে রাজ্যপাল একপেশেভাবে বৈঠকে হওয়া আলোচনার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। তৃণমূল যে দাবিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল, ইচ্ছাকৃতভাবে সেই দাবির কথা টুইটে উল্লেখ করেননি তিনি।
রাজ্যপালের এই অবস্থানকে বিভ্রান্তিকর এবং একপেশে বলে মঙ্গলবারই তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। বুধবার আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যপাল পদে আসীন এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আমাদের এক বিজেপি নেতার সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্যই অসম্পূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর টুইট করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এবার নাকি বিজেপি তাঁকে বলেছে ব্রাত্য বসুকে একটি চিঠি লিখে বোঝাবেন, কেন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছেন না।’ এরপরই রাজ্যপালকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কুণাল বলেন, শুধুই বিজেপিকে আড়াল করার জন্য একপেশেভাবে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য তুলে ধরবেন না। তার চেয়ে বরং একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করার অনুমতি দিন।
Read: মোদী জমানায় পতন জারি – সপ্তাহে দ্বিতীয় বার পড়ল টাকার দাম
Tweet: মোদী জমানায় পতন জারি – সপ্তাহে দ্বিতীয় বার পড়ল টাকার দাম
Kunal Ghosh