একুশের ভোটযুদ্ধে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বাংলায় ২০০-র বেশি আসন জয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গিয়েছে তাদের। তারপর শান্তিপুর, বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছে তাদের টপকে বামেরা উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। সেই ধারাবাহিকতাতেই দেখা গেল বাংলার ছটি পুর এলাকার ছটি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনেও। ভোটের ফলে বিজেপি কার্যত গোল্লা পেল।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোট হয়েছিল এই ছটি ওয়ার্ডে। আজ বুধবার ফল ঘোষণা হয়েছে। সেই ফলাফলে বিজেপিকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঝালদায় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ওয়ার্ডে ভোট হয়েছিল। উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। নিহত নেতার ভাইপো মিঠুন কান্দুকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। চন্দননগরে বিজেপি প্রার্থীর প্রয়াণে ভোট স্থগিত ছিল। সেই ভোটে দেখা গেল সিপিএমের অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জিতেছেন। অন্যদিকে, দমদম, উত্তর দমদম, পানিহাটি এবং ভাটপাড়ার একটি করে ওয়ার্ডে জিতেছে তৃণমূল।
যে চারটি ওয়ার্ডে তৃণমূল জিতেছে সেখানেও বিজেপি কার্যত ধুয়েমুছে সাফ। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন বামেরা। ফলে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, বাম-কংগ্রেস দাগ কাটতে পারলে বিজেপি পারল না কেন? তাহলে কি বিরোধী পরিসরে সত্যিই বিজেপি অবলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে এই রাজ্যে?
এটাও সত্যি যে, বাম ও কংগ্রেস এই ভোটকে যে ভাবে সিরিয়াসলি নিয়েছিল বিজেপির ক্ষেত্রে সেসব দেখা যায়নি। ঝালদার ওয়ার্ডটি ধরে রাখতে সেখানে কার্যত পড়ে ছিলেন নেপাল মাহাতোর মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী নিজে প্রচারে গিয়েছিলেন তপন কান্দুর এলাকায়। চন্দননগরে সুজন চক্রবর্তীর মতো একাধিক সিপিএম নেতা দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ভোট প্রচার করেছিলেন। সেসব গেরুয়া শিবিরের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
Read: এবার রাজ্যের রোগীদের চিকিৎসার তথ্য জমা থাকবে ডিজিটাল ভান্ডারে – ইউনিক হেলথ আইডি চালুর পথে মমতা সরকার
Tweet: এবার রাজ্যের রোগীদের চিকিৎসার তথ্য জমা থাকবে ডিজিটাল ভান্ডারে – ইউনিক হেলথ আইডি চালুর পথে মমতা সরকার
Byelection Result