এর আগে কখনও আসানসোল লোকসভা জেতেনি তৃণমূল। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সেই জয়ের পর মঙ্গলবার আসানসোলে পা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আসানসোল স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকেই সেই জয়ের জন্য মানুষকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, ‘যে মানুষটি জেতার পরেও আসানসোলে বারবার ছুটে এসেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও তার স্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাবুল সুপ্রিয় একসময় আসানসোলের সংসদ ছিলেন। বিজেপিকে তার পছন্দ হয়নি। তিনি এখন আমাদের বিধায়ক। আপনারা আসানসোলে আমাদের শুধু জেতাননি। বিজেপিকে খামোশ করে দিয়েছেন। এত ভোটে জিতিয়েছেন আমাদের, এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। আমার আসানসোলে আসার প্রধান কারণ মানুষকে বুক ভরা ভালোবাসা জানানো।’
এখানেই শেষ নয়, এরপরই তিনি বিজেপিকে একহাত নেন। বলেন, ‘আপনাদের ঘর বানানোর টাকা দিচ্ছে না। কয়লা অঞ্চলগুলো কেন্দ্রের অধীনে। চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা আমি এগিয়ে দিয়েছিলাম। রেলের ৮০ হাজার পোস্ট তুলে দিয়েছে। ২০২৪-এর আগে ললিপপ দেখাচ্ছে। কেউ যদি কোনো কথা বলে তাকে সিবিআই, ইডি দিয়ে অ্যারেস্ট করিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে।’
এদিন দুপুর দুটো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর সভা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কড়া বন্দোবস্ত করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে। এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর আগে সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যালুট জানাতে এসেছি। উনি আমাকে পাঠিয়েছেন আসানসোলে। যে ইতিহাস রচনা হয়েছে তারপর আমি তা কখন ভুলতে পারবো না। আমি আজ শুধু ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। দেশের এই সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে।’