দুঃসময় কাটছেই না পদ্মশিবিরের। একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই লাগাতার বিপর্যয় ক্রমাগত জর্জরিত করেছে বঙ্গ বিজেপিকে। ২৪-এ একুশের পুনরাবৃত্তি রুখতে এবার লোকসভা ভোটের আগেই বাংলায় বুথ গোছানোর প্রস্তুতি শুরু করল বিজেপি। সোমবার, ২৭শে জুন জাতীয় গ্রন্থাগারের বৈঠক থেকে বুথস্তর তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। ওই বৈঠকে দিল্লীর বিজেপি তরফে জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র হাজির থাকলেও, বঙ্গ বিজেপির কাউকেই এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ছিলেন না। তাহলে কি ক্রমশ কমছে বাংলার গেরুয়া-নেতাদের গুরুত্ব? স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
পাশাপাশি, রাজ্য নেতাদের ছেড়ে বুথের শক্তি বাড়াতে কেন কেন্দ্রের উপর ভরসা করল দিল্লী বিজেপি, এই প্রশ্নেই অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়েছে দলের অন্দরে। বিজেপির দাবি, দেশজুড়েই এমন করা হবে। সাংসদদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজে লাগাতে চলেছে বিজেপি। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতেই এই উপায় খুঁজেছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, দেশের ১৪০টি লোকসভা কেন্দ্রে এই নয়া কর্মসূচী নামাছে বিজেপি। বাংলার ১৯টি লোকসভা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে এই নিয়ম। কিন্তু তাতেও আদৌও কোনো লাভ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।