তাঁকে বারংবার ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন সুদীপ্ত সেন। আর তারপরেই সারদা কর্তার বয়ানকে হাতিয়ার করেই বঙ্গ বিজেপিকে কোণঠাসা করছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর উপর চাপ বাড়াতে সোমবারই সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ধরনায় বসেন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষরা। অন্যদিকে কাঁথি, হলদিয়ায় প্রতিবাদ মিছিল করে শাসকদল। এরপরই আজ মঙ্গলবার রাজভবনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করবে। মূলত শুভেন্দুকে নিয়ে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরতেই এই সফর বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্রাত্য বসু ছাড়াও এদিন রাজভবনে যাচ্ছেন শশী পাঁজা, তাপস রায়, ফিরোজা বিবি, অর্জুন সিংহ, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ ও বিশ্বজিৎ দেব।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার থেকেই মাঠে নেমেছে তৃণমূল। গত শুক্রবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগে আরও একবার সরব হন সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। সেদিন বিধাননগরে এমপিএমএলএ আদালতে হাজিরা ছিল তাঁর। সেখান থেকে বেরোনোর সময় সুদীপ্ত সেন অভিযোগ করেন, শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন। তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন। এমনকী কাঁথিতে শুভেন্দুর ডাকেই তিনি গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন সুদীপ্ত। তাঁর দাবি, একটা জমির বিষয় এবং সারদার একটি প্রকল্প অনুমোদনের বিষয় ছিল। সুদীপ্ত সেনের এই বক্তব্যের পরই বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী পুরোদস্তুর এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। একইসঙ্গে তিনি টাকাও নিয়েছেন। ষড়যন্ত্রী এবং সুবিধাভোগী শুভেন্দু…ও একটা ব্ল্যাকমেলার, চোর, তোলাবাজ। ওকে গ্রেফতার করতেই হবে।’