গত শনিবার বহু প্রতীক্ষীত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু উদ্বোধনকে বাংলাদেশ সরকার ‘স্বপ্নের উন্মোচন’ বলে আখ্যা দেয়। মোট ৩০ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া পদ্মা সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ছিল প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। সেতু তৈরি হতে সময় লেগেছে ৯০ মাস ২৭ দিন। দিনরাত খেটে কাজ করেছেন প্রায় ১৪ হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার। পরামর্শকের মধ্যে প্রায় এক হাজার ২০০ দেশি, দুই হাজার ৫০০ বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার। এবার সেই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ছুটবে ‘সৌহার্দ্য’, আড়াই বছর পর ফের শুরু কলকাতা-ঢাকা বাস পরিষেবা। করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী পরিষেবা। ফের আবারও প্রায় আড়াই বছর পর চালু হল এই আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা। বাংলাদেশে সদ্য উদ্বোধন হওয়া নতুন পদ্মা সেতুর উপর দিয়েই ছুটবে সৌহার্দ্য। নতুন এই সেতু চালু হয়ে যাওয়ার ফলে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ঢাকা পর্যন্ত বাসযাত্রার সময় কমবে প্রায় চার ঘন্টা বলে জানানো হয় পেট্রাপোল সীমান্ত বাস পরিষেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে। শ্যামলী যাত্রী পরিবহণ সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের করুণাময়ী বাস টার্মিনাল থেকে এই যাত্রিবাহী বাস যাতায়াত করবে।
কলকাতা-ঢাকার মধ্যে যাত্রিবাহী বাস চালু করার অনুমতি পাওয়ার পর ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের সহায়তায় সৌহার্দ্য নামের এই বাস পরিষেবা আবারও চালু করা হয় । প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার সকাল সাতটায় এই বাস সল্টলেকের করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে। আবার ঢাকা থেকে এই বাস মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার রওনা দেবে ঢাকার কমলাপুরের বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে। কলকাতা-ঢাকার বাসভাড়া থাকছে ১ হাজার ৪০০ টাকাই। ইতিমধ্যেই বেসরকারি উদ্যোগে চালু হয়েছে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যে বাস চলাচলও। এই বাস কলকাতা থেকে সোম, বুধ ও শুক্রবার করুণাময়ী বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে দুপুর পৌনে ১২টায়। আর আগরতলা থেকে ছাড়বে পরের দিন বিকেল চারটের সময়। কলকাতা-আগরতলার ভাড়াও আগের মতোই ১ হাজার ৮০০ টাকাই থাকছে। কলকাতা থেকে তিন দিন অর্থাৎ মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার এই পথে বাস চালাবে বাংলাদেশের বিআরটিসি। উভয় পরিবহণ সংস্থাই রবিবার বন্ধ রাখবে এই বাস পরিষেবা।