কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। চিটফান্ড দুর্নীতিতে বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা অভিযুক্তদের ছাড় এবং সিবিআই, ইডির পক্ষপাতিত্ব। মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল যান রাজভবনে। জোড়া অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল তৃণমূল প্রতিনিধিদল। দীর্ঘক্ষণ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষরা। তাঁর সঙ্গে মত বিনিময় হয়েছে। রাজ্যপাল নিজেও এই নিয়ে টুইট করেছেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”রাজ্যপালের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। আমরা তাঁকে নিজেদের সব কথা জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একই মামলায় তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অথচ বিজেপিতে থাকলেই ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি তাঁর নজরে এনেছি। তিনি শুনে নিজের মতামত দিয়েছেন, আমরাও পালটা বলেছি যে আমরা কী মনে করছি। তৃণমূল এবং সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে এই আলোচনা জারি থাকবে।”
এদিন ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে রাজভবনে যাওয়া প্রতিনিধিদলের তালিকায় কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ ছাড়াও ছিলেন শশী পাঁজা, তাপস রায়, সদ্য দলবদল করা অর্জুন সিং। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাঁরা। কুণাল ঘোষের কথায়, ‘কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। ইডি, সিবিআইয়ে বহু কৃতি অফিসার আছেন, তাঁদের রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। বিজেপিতে যারা নাম লেখাচ্ছে, তাদের আইনের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে। বিজেপি যেন ওয়াশিং মেশিন। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন অভিযোগ করার পরও কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করার মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আমরা আবেদন জানিয়েছি। তৃণমূল ও সরকারের সঙ্গে রাজভবনের এই যোগাযোগ জারি থাকবে।” এই নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন রাজ্যপালকে। ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ”রাজ্যপাল আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তাঁর নিজের মতামত জানিয়েছেন। ভালভাবেই কথাবার্তা হয়েছে আমাদের। আশা করি, যে বিশেষ ইস্যুতে আমাদের প্রতিবাদ, তা গুরুত্ব দিয়ে উনি বিবেচনা করবেন।”